একটি অনুপ্রেরণার গল্প।
আমি গেরামের মাতবর, আমার ছোয়াল-পোয়াল তাই কোনোডা ঢাহা বার্চিটিতে চান্স পাইনি,
আমাগো বংশ ক্যানে, গাঁওয়ের কোনো পোলা মাইয়াই তো ঢাহা বার্চিটিতে চান্স পাইনি,
আর ব্যাটা তুই স্বপ্ন দেহস তোর পোলা ঢাহা বার্চিটিতে পড়বে, আরে ওত্তো সোজানা..।
একথা শুনে বাবার মন খুবই খারাপ হয়ে গেল..
তারপর একদিন আমাকে ডেকে বাবা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
অবশ্যই চান্স পেতে হবে বললেন,
বাট আমি বল্লাম বাবা আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার জন্য পরীক্ষা দিবনা,
আমি ঢাবিতে ফাস্ট হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিব।
#হ্যাঁ ঝিনাইদহ জেলার কোনো এক অজপাড়া গাঁয়ের মাজেদ নামের সেই ছেলেটিই আজ ঢাকা ইউভার্সিটিতেই আইন বিভাগে পড়ে, ২০১৬-১৭ সেশনে ঢাবিতে সে "বি" ইউনিটে ৪৮ এবং "ডি" ইউনিটে ২৬ তম মেধা তালিকা অর্জন করেছে।
হ্যাঁ সে ঢাবিতে ১ম হয়নি তাতে কি আসে যায়, তার স্বপ্ন টা অনেক বড় ছিল তাই তাকে আমার হাজারো সেলুট।
তবে হ্যাঁ কাহিনী এখানেই শেষ হয়নি, সেই ছেলেটিই ১ম স্থান অর্জন করেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আজ সেই মাজেদের শুভ জন্মদিন সবাই তার জন্য দোয়া করবেন...
এরকম হাজারো কৃষকের ছেলে ঢাবিতে পড়ে, তাই কাউকে ছোট করে দেখার কিছু নেই।
সবার মাঝেই সুপ্ত প্রতিভা আছে।
তাই জুনিয়র দের আমি বলবো কোনো কিছুই অসম্ভব না ভেবে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার ইচ্ছাকে অদম্য সংকল্পে পরিণত কর,
ইনশা'আল্লাহ সফলতা আসবেই...।
উৎসর্গঃ সেই সকল পিতামাতাদের, যারা মৌলিক চাহিদা পূরণ না করতে পারলেও সন্তানদের উচ্চ শিক্ষিত করে..।💜💜💜
Courtesy: M.A. Matin
ReplyDeleteআপনার পোস্ট গুলো অনেক সুন্দর
।এই নিয়ে আমিও পোস্ট করছি আপনি চাইলে আমার post দেখতে পারেন।
🔥 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার উপায় | বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি টিপস