স্বপ্ন যাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস, খুলনাতে কেন/ কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করাবে। এমন কোতূহলপূর্ণ প্রশ্ন বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের পাশাপাশি খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, নড়াইল, সাতক্ষীরা সহ বিভিন্ন জেলার মাদ্রাসা-কলেজ, এমনকি স্কুল পড়ুয়া স্টুডেন্টসরাও জিজ্ঞাসা করছে প্রতিদিন।মাস্টারপিস বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং এর অফিসিয়ালি ঘোষণা ও কার্যক্রম শুরু করায় এমনটায় প্রশ্ন সবার মনে।
তার আগে একটু ক্লিয়ার করতে চাই কেন আমার এ উদ্যোগ?বস্তুত, বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পাওয়া যতটা সহজ,সঠিক গাইডলাইন পাওয়া ততটাই কঠিন। আমার পরিচিত এমন অনেকেই আছেন যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন, কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম করে কোচিং এ ক্লাস নেন।
খুলনাতে বি.এল কলেজে, আজম খান কমার্স কলেজে, যশোরে এম. এম. কলেজে পড়েন তারাও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করান ,এটা শুধু খুলনা-যশোরে নয়, ঢাকাতেও এমন সহস্র শিক্ষক আছেন যারা ঢাকা কলেজ, বাংলা কলেজ, তিতুমীর কলেজে পড়েন কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম করে ক্লাস নেন, Even DU, IBA বলেও অনেকে চালিয়ে দিচ্ছেন, এবার একটু ভর্তি পরীক্ষার বই সম্পর্কে বলি, জয়** ড্যাস ড্যাস প্রকাশনীর এক ইংরেজি বই কিনেছিলাম (যে প্রকাশনীর বই না পড়লে নাকি ঢাবিতে চান্স পেতে অপূর্ণতা রয়ে যায়) DU, IBA এর লেখক লেখা দেখে, কিন্তু আজিব ব্যাপার অ্যাডমিশনের কিছু দিন আগে জানিতে পারিলাম তিনি ডাহা বার্চিটির ঢাকা কলেজ ইউনিটে পড়তেন।
কমার্সেরর জন্য সেরা একটা কোচিং (কেউ কেউ বলেন), তাদের খুলনা শাখাতে গতবছর দেখলাম একজন শিক্ষকেই একাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, ফাইন্যান্স একাই সব গুলা পড়ান, রমযান মাসেই একাউন্টিং ছাড়া সব শেষ, পড়িয়েছিলেন নাকি গিলিয়েছিলেন, তিনিই ভালো জানেন। আর স্বয়ং পরিচালক জেনে, শুনেই এইগুলো করেন, এ সেশনে খুলনাতে একটা বিখ্যাত কোচিং এ ক্লাস নিতে গিয়েছিলাম কিন্তু নানাবিধ সমস্যা দেখে সেখানকার পরিচালক কে সে বিষয়ে অবগত করি, কিন্তু ফলাফল শূন্য। আজব তো টাকা খরচ হবে যে! বাস্তবদৃশ্য টা এমনি দেখি যে, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যাদের কোনো ধারনাই নেই, কোনটা যুগোপযোগী, কোন প্রশ্নের কি ব্যাখ্যা, কোচিং টিচার্স রা কি পড়ায় সেইটা সঠিক কিনা তাও জানেনা, যারা বিয়ে করে সংসার নিয়ে ব্যস্ত, অনেকের ছেলে মেয়ের ও বিয়ে দেওয়া হয়ে গেছে, তাছাড়া যাদের কে মনে হয়, তাদের সাথে শুধু কোচিং এ প্রদত্ত মোটা অংকের টাকার সাথেই সম্পর্ক, কমার্শিয়াল চিন্তা ছাড়া যারা আর কিছুই ভাবতে পারেনা। দুঃখের বিষয় তারাই আজকাল কোচিং সেন্টারের পরিচালক।
এখন বলেন তারা যে পঙ্গু গাইডলাইন দিবে তার দ্বারা আপনি কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবেন।
একটা কথা আছে, "জগে থাকলে মগে পড়ে"এখন কথা হচ্ছে জগেই যদি কিছু না থাকে, তার থেকে আপনি মগে কিভাবে কিছু আশা করেন?
অনেকেই দেখেন যে কোন কোচিং থেকে কয়জন চান্স পেলো, সেইটা দেখেই কোন কোচিং ভালো হবে এটা বিবেচনা করেন। ধরেন আপনি যে কোচিং এ পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০৫৩ টি স্টুডেন্টস ই সেই কোচিং থেকে চান্স পেয়েছে, তার মানে ঐ কোচিং টায় বেস্ট, কিন্তু আপনি যে ব্রাঞ্চে কোচিং করছেন, সেখানকার টিচার্স গুলো যোগ্য কিনা সেইটা বিবেচনা করেন না।
ট্রাস্ট মি, আমি নিজেও যখন কলেজে পড়তাম এমনটায় ভাবতাম।
কিন্তু আপনি ১০টা নাম করা কোচিং থেকে যেকোনো ১টা সেশনের শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স প্রাপ্তদের একটা পরিসংখ্যান বের করে দেখেন, কমপক্ষে পঁচিশ থেকে ত্রিশ হাজার স্টুডেন্টস (মোট হিসাবে-অমুক কোচিং থেকে ২০০০জন, তমুক কোচিং থেকে ২৫০০ জন,,,,,) চান্স পেয়েছে শো অফ করা হয়েছে দেখবেন, যেখানে ঢাবিতে আসন সংখ্যা তার তিন ভাগের এক ভাগ ও নেই।
আর যারা টপ মেরিট পজিশনে আসে তারা তো এ সকল কোচিং সেন্টারের পাবলিক সম্পদ হয়ে যায়, আপনি যে কোচিং এ যান না কেনো বা তাদের প্রসপেক্টাস দেখেন সব কোচিং এ তাদের নাম ছবি আছে।এমনও শত স্টুডেন্টস দের দেখলাম যারা কোনো কোচিং ছাড়াই ঢাবিতে চান্স পেয়েছে, কিন্তু ওই কোচিং সেন্টারগুলো তাদের নাম, ছবিও ব্যবহার করছে।
ট্রাস্ট মি কোনো কোচিং আপনাকে চান্স পাওয়াতে পারবেনা, তবে তারা চান্স পাওয়ার পথটা দেখাতে পারবেন। এখন কথা হচ্ছে আপনাকে সেই পথটা কে দেখাচ্ছেন, আসলেই সেকি তার যোগ্য, নাকি আপনি ভুল পথে হাঁটছেন?
নিজেকেই জিজ্ঞাসা করেন, আপনার যে ফ্রেন্ড ঢাকাতে কোচিং করে আর যে ঢাকার বাইরে কোচিং করে দুজনের মাঝের তফাত টা আকাশ পাতাল, এ বছর যশোর, খুলনার স্টুডেন্টস দের এমন বোকামি ও দেখেছি-
যারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশপত্র দুইটা লাগে তাও জানেনা,
ঢাকা আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা একই দিনে হয় প্রবেশপথ পাওয়ার আগে তাও জানেনা, হাইলাইটস্ কি/কাকে বলে, তারা জানেনা, শোনেনি, এমনকি চোখেও দেখেনি। কিন্তু নামকরা কোচিং, ব্যাচে, প্রাইভেট প্রোগ্রামে পড়েছে। আর এমন ভুল দশ-বিশ জন নয়, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তা কার্যক্রম করতে যেয়ে শতাধিক স্টুডেন্টস কে দেখেছি এমনটায় ভুল করতে, জানতাম না, জানতাম না রব উঠাতে।
যেগুলা ঢাকাতে কোচিং করা স্টুডেন্টস রা কোচিং করার শুরুতেই জানতে পারে।
সেক্ষেত্রে আপডেট থাকতে হলে ঢাকাতে কোচিং করাই তুলনামূলক বেটার, যদি সঠিক জায়গাতে ভর্তি হতে পারেন।
তবে সবাই কি আর ঢাকাতে কোচিং করার সামর্থ্যবান হয়?
যাইহোক এমন চিন্তা করে আমিও ঢাকা, ফার্মগেটে নামকরা একটা কোচিং এ ভর্তি হয়েছিলাম, কিন্তু দুঃখের বিষয় এটা ছিল যে টিচার্স গুলো ক্লাসে ভালো করে না পড়িয়ে তাদের নিজস্ব ব্যাচের বিজ্ঞাপন দিতেন, তাদের শিট/বই ছাড়া চান্স সম্ভব নয় (ভিন্ন ভিন্ন ব্যাচেও ক্লাস করে দেখেছি), এমনটায় বলতেন,সেজন্য ইংরেজি (IBA-DU) ও হিসাববিজ্ঞানের আলাদা ২টা নামকরা ব্যাচে ভর্তি হই। ফলশ্রুতিতে কোচিং প্রাইভেট করতে করতে সারাদিন আর পড়া হতোনা, তাও ব্যাপারনা, কিন্তু দ্যাট মোমেন্ট, যখন জানতে পারলাম IBA-DU এর ভাই নাকি ঢাকা কলেজ। কিন্তু বাস্তবতাটা কেমন কেউ কি জানেন? বাবা মারা যাওয়ার পর প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে কিছু টাকা পাওয়া গিয়েছিল এবং মায়ের ৩ টা ছাগল বিক্রি করে ঢাকাতে কোচিং, ব্যাচে, প্রাইভেটে ভর্তি হয়েছিলাম। আমার কলেজ থেকে আরো বিশ জন ছিল আমার সাথে কারণ স্বপ্ন ছিল শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু এত কিছুর পর স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকেনা।
বিলিভ মি, চান্স পাওয়ার জন্য কোনো কোচিং, প্রাইভেট লাগেনা, আপনার যদি কোনো বড় ভাই/বোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন শুধু তাদের গাইডলাইন টা সম্পূর্ণ মেনে চলেন, দেখবেন উপরওয়ালা ছাড়া আপনার চান্স কেউ ঠেকাতে পারবেনা।
কথায় কথা বেড়ে যায়, আমার এক ফ্রেন্ডের মামাতো ভাইকে এ বছর আমার কাছে হলে রেখেই দিকনির্দেশনা দিয়েছিলাম "বি" ইউনিটে সে ৪৩ তম হয়েছে, "সি" ইউনিটে একজন ১২৮ তম হয়েছে, "ডি" ইউনিটে ১০২,১০৫ তম সহ শুধু আমার কাছে থেকে হলে রাখা ১৪ জনের ১২ জনই ঢাবিতে চান্স পেয়েছে, একজন রাজশাহীতে আরেকজন আজকে সাস্টে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
আর আমাদের সম্পূর্ণ মাস্টারপিস কমিউনিটির শিক্ষক দের সবার থেকে মোট ১৫৩ জন পরীক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে। যাইহোক কিন্তু সেই ভাই/বোন থাকা আজকাল ভাগ্যের ব্যাপার,যেটা আমার ছিলনা। স্টিল আমার গ্রাম থেকে শুধু্ আমি একাই এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি।
আচ্ছা একটা পরিসংখ্যান বলি, আমার উপজেলা থেকে বিগত বছর মাত্র চার জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে, যে উপজেলার পরিসংখ্যান বলে সেখানে ভর্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজারের ও বেশী ছিল, আর I'm GPA- 5 পাওয়া স্টুডেন্টস প্রায় চারশতাধিক ছিল, খুলনা জেলা থেকে মোট ৬২, জন, যশোর থেকে ৭৫ জন, সাতক্ষীরা থেকে ৫৫ জন, বাগেরহাট থেকে ৩৭ জন, নড়াইল থেকে ২৪ জন, ঝিনাইদহ থেকে ৮০ জন, মেহেরপুর থেকে ২৭ জন, মাগুরা থেকে ৪২ জন, কুষ্টিয়া থেকে ৪৫ জন, চুয়াডাঙ্গা থেকে ২৫ জন (ছাত্রকল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী)। পুরো বোর্ড থেকে মাত্র ৪৭২ জন ঢাবিতে চান্স পেয়েছে, তারা কিন্তু সব GPA-5 না, আমি নিজেই ৪.২৫ (৪র্থ বিষয় বাদে)। কিন্তু গতবছর যশোর বোর্ডে GPA- 5 এর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৫৮৬জন। তবে ভর্তি পরীক্ষাতে এ বিফলতার দায় কার?
দায় আমার,দায় আপনার, কারণ আমি, আপনি ঢাবিতে পড়ি,বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, কিন্তু পিছিয়ে থাকা সে ভাই-বোনদের জন্য কি করেছি?
এসব বিবেচনা করেই আমি এ বছর খুলনাতে সরাসরি ঢাবি স্টুডেন্টস দের দ্বারা পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং চালু করেছি। সব ক্লাস আমরা ঢাবিয়ান রাই নিবো, সহযোগিতায় থাকবেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু মেধাবী ও অভিজ্ঞ স্টুডেন্টস ।পাশাপাশি যশোর-খুলনা থেকে আগত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক দের সাথেও আমি কথা বলে পরামর্শ নিয়েছি, স্যার রাও আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। তাছাড়াও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ছাত্র কল্যাণ সমিতির প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারিদের সাথে আলোচনা করায় তারা প্রত্যেকেই যথাসম্ভব সহযোগিতা করছেন এবং আগামীতেও করবেন।
সর্বশেষ আমি একটা কথায় বলতে চাই,স্পন্সর থাকলে দেশের প্রতিটা জেলাতে আমি কমপক্ষে একটা করে ফ্রি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করার ব্যবস্থা করে দিতাম, আর আল্লাহ'তায়ালা আমাকে যদি তেমন সামর্থ্য কোনোদিন দেন তাহলে আমি নিজেই এ ব্যবস্থা করব একদিন ইনশা'আল্লাহ। যেন কোনো দরিদ্র-মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী হাল ছেড়ে না দেয়।
এ উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে, ২০ ডিসেম্বর থেকে আগামী ভর্তি পরীক্ষার আগে পর্যন্ত খুলনা বিভাগের ৫০ টা কলেজ ও মাদ্রাসাতে মাস্টারপিস কমিউনিটি ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক সেমিনার করবে।
লক্ষ্য একটাই, অসম্ভব একটা পরিবর্তন চাই, আমরা যেন গর্ব করে বলতে পারি আমাদের জেলা বা বিভাগ থেকে, আমাদের ছোট ভাই-বোনরা সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশী চান্স পেয়েছে।
#A Revolutionary Change of Admission Preparation in Khulna Division.
@Best Regards
MasterPiece University Admission Coaching.
"The M@ster of Masters"
A Scholastic Guide to shape Your Future Brightly.
© M.A. Matin
Founder & Director of "MasterPiece "
FB:https://www.facebook.com/MasterPieceCare/
তার আগে একটু ক্লিয়ার করতে চাই কেন আমার এ উদ্যোগ?বস্তুত, বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পাওয়া যতটা সহজ,সঠিক গাইডলাইন পাওয়া ততটাই কঠিন। আমার পরিচিত এমন অনেকেই আছেন যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন, কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম করে কোচিং এ ক্লাস নেন।
খুলনাতে বি.এল কলেজে, আজম খান কমার্স কলেজে, যশোরে এম. এম. কলেজে পড়েন তারাও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করান ,এটা শুধু খুলনা-যশোরে নয়, ঢাকাতেও এমন সহস্র শিক্ষক আছেন যারা ঢাকা কলেজ, বাংলা কলেজ, তিতুমীর কলেজে পড়েন কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম করে ক্লাস নেন, Even DU, IBA বলেও অনেকে চালিয়ে দিচ্ছেন, এবার একটু ভর্তি পরীক্ষার বই সম্পর্কে বলি, জয়** ড্যাস ড্যাস প্রকাশনীর এক ইংরেজি বই কিনেছিলাম (যে প্রকাশনীর বই না পড়লে নাকি ঢাবিতে চান্স পেতে অপূর্ণতা রয়ে যায়) DU, IBA এর লেখক লেখা দেখে, কিন্তু আজিব ব্যাপার অ্যাডমিশনের কিছু দিন আগে জানিতে পারিলাম তিনি ডাহা বার্চিটির ঢাকা কলেজ ইউনিটে পড়তেন।
কমার্সেরর জন্য সেরা একটা কোচিং (কেউ কেউ বলেন), তাদের খুলনা শাখাতে গতবছর দেখলাম একজন শিক্ষকেই একাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, ফাইন্যান্স একাই সব গুলা পড়ান, রমযান মাসেই একাউন্টিং ছাড়া সব শেষ, পড়িয়েছিলেন নাকি গিলিয়েছিলেন, তিনিই ভালো জানেন। আর স্বয়ং পরিচালক জেনে, শুনেই এইগুলো করেন, এ সেশনে খুলনাতে একটা বিখ্যাত কোচিং এ ক্লাস নিতে গিয়েছিলাম কিন্তু নানাবিধ সমস্যা দেখে সেখানকার পরিচালক কে সে বিষয়ে অবগত করি, কিন্তু ফলাফল শূন্য। আজব তো টাকা খরচ হবে যে! বাস্তবদৃশ্য টা এমনি দেখি যে, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যাদের কোনো ধারনাই নেই, কোনটা যুগোপযোগী, কোন প্রশ্নের কি ব্যাখ্যা, কোচিং টিচার্স রা কি পড়ায় সেইটা সঠিক কিনা তাও জানেনা, যারা বিয়ে করে সংসার নিয়ে ব্যস্ত, অনেকের ছেলে মেয়ের ও বিয়ে দেওয়া হয়ে গেছে, তাছাড়া যাদের কে মনে হয়, তাদের সাথে শুধু কোচিং এ প্রদত্ত মোটা অংকের টাকার সাথেই সম্পর্ক, কমার্শিয়াল চিন্তা ছাড়া যারা আর কিছুই ভাবতে পারেনা। দুঃখের বিষয় তারাই আজকাল কোচিং সেন্টারের পরিচালক।
এখন বলেন তারা যে পঙ্গু গাইডলাইন দিবে তার দ্বারা আপনি কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবেন।
একটা কথা আছে, "জগে থাকলে মগে পড়ে"এখন কথা হচ্ছে জগেই যদি কিছু না থাকে, তার থেকে আপনি মগে কিভাবে কিছু আশা করেন?
অনেকেই দেখেন যে কোন কোচিং থেকে কয়জন চান্স পেলো, সেইটা দেখেই কোন কোচিং ভালো হবে এটা বিবেচনা করেন। ধরেন আপনি যে কোচিং এ পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০৫৩ টি স্টুডেন্টস ই সেই কোচিং থেকে চান্স পেয়েছে, তার মানে ঐ কোচিং টায় বেস্ট, কিন্তু আপনি যে ব্রাঞ্চে কোচিং করছেন, সেখানকার টিচার্স গুলো যোগ্য কিনা সেইটা বিবেচনা করেন না।
ট্রাস্ট মি, আমি নিজেও যখন কলেজে পড়তাম এমনটায় ভাবতাম।
কিন্তু আপনি ১০টা নাম করা কোচিং থেকে যেকোনো ১টা সেশনের শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স প্রাপ্তদের একটা পরিসংখ্যান বের করে দেখেন, কমপক্ষে পঁচিশ থেকে ত্রিশ হাজার স্টুডেন্টস (মোট হিসাবে-অমুক কোচিং থেকে ২০০০জন, তমুক কোচিং থেকে ২৫০০ জন,,,,,) চান্স পেয়েছে শো অফ করা হয়েছে দেখবেন, যেখানে ঢাবিতে আসন সংখ্যা তার তিন ভাগের এক ভাগ ও নেই।
আর যারা টপ মেরিট পজিশনে আসে তারা তো এ সকল কোচিং সেন্টারের পাবলিক সম্পদ হয়ে যায়, আপনি যে কোচিং এ যান না কেনো বা তাদের প্রসপেক্টাস দেখেন সব কোচিং এ তাদের নাম ছবি আছে।এমনও শত স্টুডেন্টস দের দেখলাম যারা কোনো কোচিং ছাড়াই ঢাবিতে চান্স পেয়েছে, কিন্তু ওই কোচিং সেন্টারগুলো তাদের নাম, ছবিও ব্যবহার করছে।
ট্রাস্ট মি কোনো কোচিং আপনাকে চান্স পাওয়াতে পারবেনা, তবে তারা চান্স পাওয়ার পথটা দেখাতে পারবেন। এখন কথা হচ্ছে আপনাকে সেই পথটা কে দেখাচ্ছেন, আসলেই সেকি তার যোগ্য, নাকি আপনি ভুল পথে হাঁটছেন?
নিজেকেই জিজ্ঞাসা করেন, আপনার যে ফ্রেন্ড ঢাকাতে কোচিং করে আর যে ঢাকার বাইরে কোচিং করে দুজনের মাঝের তফাত টা আকাশ পাতাল, এ বছর যশোর, খুলনার স্টুডেন্টস দের এমন বোকামি ও দেখেছি-
যারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশপত্র দুইটা লাগে তাও জানেনা,
ঢাকা আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা একই দিনে হয় প্রবেশপথ পাওয়ার আগে তাও জানেনা, হাইলাইটস্ কি/কাকে বলে, তারা জানেনা, শোনেনি, এমনকি চোখেও দেখেনি। কিন্তু নামকরা কোচিং, ব্যাচে, প্রাইভেট প্রোগ্রামে পড়েছে। আর এমন ভুল দশ-বিশ জন নয়, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তা কার্যক্রম করতে যেয়ে শতাধিক স্টুডেন্টস কে দেখেছি এমনটায় ভুল করতে, জানতাম না, জানতাম না রব উঠাতে।
যেগুলা ঢাকাতে কোচিং করা স্টুডেন্টস রা কোচিং করার শুরুতেই জানতে পারে।
সেক্ষেত্রে আপডেট থাকতে হলে ঢাকাতে কোচিং করাই তুলনামূলক বেটার, যদি সঠিক জায়গাতে ভর্তি হতে পারেন।
তবে সবাই কি আর ঢাকাতে কোচিং করার সামর্থ্যবান হয়?
যাইহোক এমন চিন্তা করে আমিও ঢাকা, ফার্মগেটে নামকরা একটা কোচিং এ ভর্তি হয়েছিলাম, কিন্তু দুঃখের বিষয় এটা ছিল যে টিচার্স গুলো ক্লাসে ভালো করে না পড়িয়ে তাদের নিজস্ব ব্যাচের বিজ্ঞাপন দিতেন, তাদের শিট/বই ছাড়া চান্স সম্ভব নয় (ভিন্ন ভিন্ন ব্যাচেও ক্লাস করে দেখেছি), এমনটায় বলতেন,সেজন্য ইংরেজি (IBA-DU) ও হিসাববিজ্ঞানের আলাদা ২টা নামকরা ব্যাচে ভর্তি হই। ফলশ্রুতিতে কোচিং প্রাইভেট করতে করতে সারাদিন আর পড়া হতোনা, তাও ব্যাপারনা, কিন্তু দ্যাট মোমেন্ট, যখন জানতে পারলাম IBA-DU এর ভাই নাকি ঢাকা কলেজ। কিন্তু বাস্তবতাটা কেমন কেউ কি জানেন? বাবা মারা যাওয়ার পর প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে কিছু টাকা পাওয়া গিয়েছিল এবং মায়ের ৩ টা ছাগল বিক্রি করে ঢাকাতে কোচিং, ব্যাচে, প্রাইভেটে ভর্তি হয়েছিলাম। আমার কলেজ থেকে আরো বিশ জন ছিল আমার সাথে কারণ স্বপ্ন ছিল শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু এত কিছুর পর স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকেনা।
বিলিভ মি, চান্স পাওয়ার জন্য কোনো কোচিং, প্রাইভেট লাগেনা, আপনার যদি কোনো বড় ভাই/বোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন শুধু তাদের গাইডলাইন টা সম্পূর্ণ মেনে চলেন, দেখবেন উপরওয়ালা ছাড়া আপনার চান্স কেউ ঠেকাতে পারবেনা।
কথায় কথা বেড়ে যায়, আমার এক ফ্রেন্ডের মামাতো ভাইকে এ বছর আমার কাছে হলে রেখেই দিকনির্দেশনা দিয়েছিলাম "বি" ইউনিটে সে ৪৩ তম হয়েছে, "সি" ইউনিটে একজন ১২৮ তম হয়েছে, "ডি" ইউনিটে ১০২,১০৫ তম সহ শুধু আমার কাছে থেকে হলে রাখা ১৪ জনের ১২ জনই ঢাবিতে চান্স পেয়েছে, একজন রাজশাহীতে আরেকজন আজকে সাস্টে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
আর আমাদের সম্পূর্ণ মাস্টারপিস কমিউনিটির শিক্ষক দের সবার থেকে মোট ১৫৩ জন পরীক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে। যাইহোক কিন্তু সেই ভাই/বোন থাকা আজকাল ভাগ্যের ব্যাপার,যেটা আমার ছিলনা। স্টিল আমার গ্রাম থেকে শুধু্ আমি একাই এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি।
আচ্ছা একটা পরিসংখ্যান বলি, আমার উপজেলা থেকে বিগত বছর মাত্র চার জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে, যে উপজেলার পরিসংখ্যান বলে সেখানে ভর্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজারের ও বেশী ছিল, আর I'm GPA- 5 পাওয়া স্টুডেন্টস প্রায় চারশতাধিক ছিল, খুলনা জেলা থেকে মোট ৬২, জন, যশোর থেকে ৭৫ জন, সাতক্ষীরা থেকে ৫৫ জন, বাগেরহাট থেকে ৩৭ জন, নড়াইল থেকে ২৪ জন, ঝিনাইদহ থেকে ৮০ জন, মেহেরপুর থেকে ২৭ জন, মাগুরা থেকে ৪২ জন, কুষ্টিয়া থেকে ৪৫ জন, চুয়াডাঙ্গা থেকে ২৫ জন (ছাত্রকল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী)। পুরো বোর্ড থেকে মাত্র ৪৭২ জন ঢাবিতে চান্স পেয়েছে, তারা কিন্তু সব GPA-5 না, আমি নিজেই ৪.২৫ (৪র্থ বিষয় বাদে)। কিন্তু গতবছর যশোর বোর্ডে GPA- 5 এর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৫৮৬জন। তবে ভর্তি পরীক্ষাতে এ বিফলতার দায় কার?
দায় আমার,দায় আপনার, কারণ আমি, আপনি ঢাবিতে পড়ি,বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, কিন্তু পিছিয়ে থাকা সে ভাই-বোনদের জন্য কি করেছি?
এসব বিবেচনা করেই আমি এ বছর খুলনাতে সরাসরি ঢাবি স্টুডেন্টস দের দ্বারা পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং চালু করেছি। সব ক্লাস আমরা ঢাবিয়ান রাই নিবো, সহযোগিতায় থাকবেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু মেধাবী ও অভিজ্ঞ স্টুডেন্টস ।পাশাপাশি যশোর-খুলনা থেকে আগত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক দের সাথেও আমি কথা বলে পরামর্শ নিয়েছি, স্যার রাও আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। তাছাড়াও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ছাত্র কল্যাণ সমিতির প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারিদের সাথে আলোচনা করায় তারা প্রত্যেকেই যথাসম্ভব সহযোগিতা করছেন এবং আগামীতেও করবেন।
সর্বশেষ আমি একটা কথায় বলতে চাই,স্পন্সর থাকলে দেশের প্রতিটা জেলাতে আমি কমপক্ষে একটা করে ফ্রি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করার ব্যবস্থা করে দিতাম, আর আল্লাহ'তায়ালা আমাকে যদি তেমন সামর্থ্য কোনোদিন দেন তাহলে আমি নিজেই এ ব্যবস্থা করব একদিন ইনশা'আল্লাহ। যেন কোনো দরিদ্র-মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী হাল ছেড়ে না দেয়।
এ উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে, ২০ ডিসেম্বর থেকে আগামী ভর্তি পরীক্ষার আগে পর্যন্ত খুলনা বিভাগের ৫০ টা কলেজ ও মাদ্রাসাতে মাস্টারপিস কমিউনিটি ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক সেমিনার করবে।
লক্ষ্য একটাই, অসম্ভব একটা পরিবর্তন চাই, আমরা যেন গর্ব করে বলতে পারি আমাদের জেলা বা বিভাগ থেকে, আমাদের ছোট ভাই-বোনরা সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশী চান্স পেয়েছে।
#A Revolutionary Change of Admission Preparation in Khulna Division.
@Best Regards
MasterPiece University Admission Coaching.
"The M@ster of Masters"
A Scholastic Guide to shape Your Future Brightly.
© M.A. Matin
Founder & Director of "MasterPiece "
FB:https://www.facebook.com/MasterPieceCare/
ReplyDeleteIt is one of the best educational consultant & help centres all over the Bangladesh. It's completely directed by the students of University of Dhaka. Besides, in the Khulna Division, with the cooperation of the students from Khulna University & Jessore University of Science & Technology, it's instructed by some Scholars of Dhaka University.
MasterPiece University Admission Coaching.
"The M@ster of Masters"
Committed to building up your Dream.
#A Scholastic Guide to Shape Your Future Brightly.